আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আসতে চান মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, সভাপতিকে চিঠি দিয়ে অবহিত...

 

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

সদ্য সমাপ্তকৃত সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষিত হয়।

যার ফলে পূর্নাঙ্গ কমিটির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বিভিন্ন গ্রুপিংএর ফলে ত্যাগী নেতারা কাঙ্খিত পদে স্থান পাবেন কি?  তা নিয়েও রয়েছে যতেষ্ঠ সংশয়।

এরই মাঝে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদকের পদটি প্রত্যাশা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গাজীয়ার রহমান এর সন্তান মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান সজল। এবং এর মধ্যে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সংগ্ৰামী সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা মহোদয়কে রেজিঃ করে চিঠি দিয়ে অবহিত করছেন বলে যানা যায়...

এ বিষয়ে সজল বলেন...

আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, জামালপুর জেলা আওয়ামী রাজনীতিতে সততার প্রতীক এডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদারকে অনুসরণকারী।

আমি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, যমুনা সার কারখানা ইউনিট, তারাকান্দি এর সভাপতি ও  মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, ২ নং পোগলদিঘা ইউনিয়ন শাখার সহ-সভাপতি দায়িত্বে আছি।

ইতিপূর্বে জাতীয় শ্রমিক লীগ সরিষাবাড়ী আঞ্চলিক শাখার সহ সাধারন সম্পাদক এবং জেএফসিএল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) এর সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।

আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সুজাত আলী অনার্স কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ২০১০-২০১২ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছি। ১/১১ পরে বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপার কারামুক্তির আন্দোলনেও সক্রিয় ভুমিকা রেখেছি।

২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তীতে সরিষাবাড়ীর বিএনপি'র রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ২ নং পোগলদিঘা ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম সম্পাদক (২০০১-২০১০) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি।  তার আগে সহ সম্পাদক হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,  ইন্টার ১ম বর্ষ, সুজাত আলী অনার্স কলেজ শাখা সততার সহিত দায়িত্ব পালন করেছি।

১৯৯৬ এর নির্বাচন কালীন সময়ে সবচেয়ে কম বয়সীদের নিয়ে মিছিল করার কারণে সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী, সর্বজন শ্রদ্ধীয় ব্যক্তি মরহুম মৌলনা নূরুল ইসলাম স্যার এবং বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাদশা ভাই শিশু লীগের নেতা হিসাবে অভিহিত করতেন।

তাছাড়াও নেশামুক্ত সমাজ গঠনের জন্য বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন মুলক কর্মকাণ্ডে এবং সরিষাবাড়ী খেলাধুলার উন্নতির জন্য অগ্রদূত ফুটবল একাডেমি গঠন করেছি ও বিভিন্ন ক্লাবসমূহকে উৎসাহ এবং অর্থনৈতিক ভাবে সাহায্য সহযোগীতা করেছি এবং তা এখনো অব্যাহত রেখেছি।

সে হিসাবে আসন্ন আওয়ামী লীগ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমার সুদীর্ঘ রাজনীতির পরিশ্রমের ফল হিসাবে আমাকে শ্রম বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব দিয়ে যথাযথ মূল্যায়ন করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি...

তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও চান নতুন ও তরুন প্রজন্ম এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালনকারী,ধারণকারী ও মুক্তিযোদ্ধা- মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরাও উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে  তাদেরকে মূল্যায়ন করা হোক...